আমাদের ত্বকে রঙকনা বা পিগমেন্ট বলে একটা বস্তু আছে। বিধাতা নানা রঙে মানুষ তৈরি করেছেনঃ সাদা, বাদামী,কালো। শ্বেতী ত্বকের রংগের একটি রোগ। খুবই মৃদু মানের একটি ত্বক সমস্যা। কিন্তু এ রোগ কিছু মানুষের মনোজগতের বিভীষিকার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ রোগে ত্বকের কিছু অংশের রং পরিবর্তিত হয়ে সাদা রং ধারণ করে। সম্পূর্ণভাবে অসংক্রামক অর্থাৎ জীবাণু বিহীন একটি রোগ। তবুও অনেকে এ রোগকে অন্য কিছু রোগের সাথে, যেমন সংক্রামক ব্যাধি কুষ্ঠ ও ছুলিকে এ রোগের সাথে ভুলক্রমে মিলিয়ে ফেলেন। শ্বেতী রোগ নিয়ে সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে রয়েছে ধোঁয়াশা ও কুসংস্কার। এ রোগের চিকিৎসায় সবচেয়ে প্রয়োজন এর ধরন ও কারণ বিষয়ে সম্যক ধারণা। এ রোগ বিভিন্ন দেশে যতটুকু না শারীরিক, তারচেয়ে বেশি মানসিক। এখন প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি। আসুন এ রোগ বিষয়ে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলে ফেলি।
Month: April 2021
করোনা রোগীর শরীরে অক্সিজেন কমে গেলে
নিজ ঘরবাড়িতে অক্সিজেন ব্যবহারের বিপদ
করনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় অনেকেই অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে বাড়িতে রাখছেন। কিন্তু কোন পরিস্থিতিতে কতটুকু অক্সিজেন কিভাবে দিতে হবে, তা না জেনে এটি ব্যবহার করা উচিত নয়। অকারণে ও মাত্রা অতিরিক্ত ব্যবহারে অক্সিজেন বিপদ আরো বাড়াতে পারে।
একজন সুস্থ মানুষের রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ ৯৫ থেকে ৯৮ শতাংশের মধ্যে থাকে। স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অক্সিজেন কমে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে অথবা হাসপাতালে যেতে হবে। নিজে নিজে অক্সিজেন না নেওয়াই ভালো। কারণ একেক রোগীর ক্ষেত্রে অক্সিজেনের মাত্রা ও প্রয়োগ পদ্ধতি একেক রকম হতে পারে। বাতাসে প্রায় ২১ শতাংশ অক্সিজেন থাকে। সেই অক্সিজেন সমৃদ্ধ বাতাস আমরা প্রতিমুহূর্তে নিঃশ্বাসের সঙ্গে নিচ্ছি। এক্ষেত্রে শরীর একটি নিজস্ব প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন গ্রহণ করে থাকে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত অক্সিজেন যদি কখনো প্রয়োগ করা হয় তবে তা ক্ষতিকর ক্রিয়া ঘটাতে পারে। যাদের ইতিমধ্যেই শ্বাসতন্ত্রের অন্য কোনো রোগ রয়েছে যেমন সিওপিডি বা ক্রনিক ব্রংকাইটিস, তাদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা এমনিতেই কম থাকে। এর সঙ্গে তারা অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। এসব রোগী যদি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কৃত্তিমভাবে বাড়তি অক্সিজেন নেন তাহলে তাদের ফুসফুসের অক্সিজেন ধারণ ক্ষমতা ব্যাহত হতে পারে। এমনকি মস্তিষ্কের রেসপিরেটরি কন্ট্রোল নষ্ট হয়ে ফুসফুসের ক্রিয়া নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে।
বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখলে বড় অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি রয়েছে। অবশ্য সিলিন্ডারের মুখ শক্ত করে বন্ধ থাকলে বিপদের ঝুঁকি অনেকটাই কম। কিন্তু অনেক সময় কোনো-না-কোনোভাবে তা লিক হতে পারে; কোন কারনে পাইপটা খোলা থেকে যেতে পারে।ব্যবহারের পর পাইপ বন্ধ করতে ভুলে যেতে পারেন অনেকে। এতে বড় বিপদ হতে পারে। কারণ অক্সিজেনের উপস্থিতিতে যেকোনো বস্তুই দাহ্য হয়ে ওঠে।