ত্বকের শ্বেতী রোগের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন

আমাদের ত্বকে রঙকনা বা পিগমেন্ট বলে একটা বস্তু আছে। বিধাতা নানা রঙে মানুষ তৈরি করেছেনঃ সাদা, বাদামী,কালো। শ্বেতী ত্বকের রংগের একটি রোগ। খুবই মৃদু মানের একটি ত্বক সমস্যা। কিন্তু এ রোগ কিছু মানুষের মনোজগতের বিভীষিকার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ রোগে ত্বকের কিছু অংশের রং পরিবর্তিত হয়ে সাদা রং ধারণ করে। সম্পূর্ণভাবে অসংক্রামক অর্থাৎ জীবাণু বিহীন একটি রোগ। তবুও অনেকে এ রোগকে অন্য কিছু রোগের সাথে, যেমন সংক্রামক ব্যাধি কুষ্ঠ ও ছুলিকে এ রোগের সাথে ভুলক্রমে মিলিয়ে ফেলেন। শ্বেতী রোগ নিয়ে সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে রয়েছে ধোঁয়াশা ও কুসংস্কার। এ রোগের চিকিৎসায় সবচেয়ে প্রয়োজন এর ধরন ও কারণ বিষয়ে সম্যক ধারণা। এ রোগ বিভিন্ন দেশে যতটুকু না শারীরিক, তারচেয়ে বেশি মানসিক। এখন প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি। আসুন এ রোগ বিষয়ে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলে ফেলি।

করোনা রোগীর শরীরে অক্সিজেন কমে গেলে

করোনা রোগীর শরীরে অক্সিজেন কমে গেলে

সুস্থ মানুষের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫ থেকে ৯৮ শতাংশের মধ্যেই থাকে। অনেক সময় শুরুতে অক্সিজেনের ঘাটতি রোগী বুঝতে পারে না। তবে পালস অক্সিমিটার এর সাহায্যে খুব সহজেই  অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপ করা যায়। এ যন্ত্র না থাকলেও ছোট্ট কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে ফুসফুসের অবস্থা বুঝা যায় ; রোগীকে প্রথমেই মুখ দিয়ে সজোরে বুকের ভেতরে থাকা বাতাস ছাড়তে হবে। তারপর ধীরে ধীরে গভীরভাবে নাক দিয়ে বাতাস টেনে শ্বাস ধরে রাখতে হবে। যদি সাত সেকেন্ড এভাবে শ্বাস ধরে রাখতে সমস্যা হয়, তাহলে বুঝতে হবে অক্সিজেনের মাত্রা প্রায় ৯৫ শতাংশে নেমে এসেছে। আর যদি ৫ সেকেন্ড পর্যন্ত শ্বাস ধরে রাখতে সমস্যা হয়, তাহলে বুঝতে হবে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা আরও কমে গেছে। রক্তে অক্সিজেন কমে গেলে শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যায়, হৃদস্পন্দনের গতি বেড়ে যায়, বুকে ব্যথা হয় ও নিঃশ্বাসে সমস্যা হয়। এক সময় প্রচণ্ড দুর্বল লাগতে পারে, মাথা ঝিমঝিম করতে পারে।

অক্সিজেনের মাত্রা বেশি  কমে গেলে রোগীর ঠোঁট ও চামড়া  নীল হয়ে যায়।

এসময় রোগীকে উপুড় করে শুইয়ে দিয়ে জোরে জোরে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে বলতে হবে। এতে কিছুটা উপকার পাওয়া যায়, কারণ এর ফলে ফুসফুসের  একটি বিরাট অংশে সহজে বাতাস প্রবেশ করতে পারে।

এ অবস্থায় অবশ্যই রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

নিজ ঘরবাড়িতে অক্সিজেন ব্যবহারের বিপদ

করনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় অনেকেই অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে বাড়িতে রাখছেন। কিন্তু কোন পরিস্থিতিতে কতটুকু অক্সিজেন কিভাবে দিতে হবে, তা না জেনে এটি ব্যবহার করা উচিত নয়। অকারণে ও মাত্রা অতিরিক্ত ব্যবহারে অক্সিজেন বিপদ আরো বাড়াতে  পারে।

একজন সুস্থ মানুষের রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ ৯৫ থেকে ৯৮ শতাংশের মধ্যে থাকে। স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অক্সিজেন কমে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে অথবা  হাসপাতালে যেতে হবে। নিজে নিজে অক্সিজেন না নেওয়াই ভালো। কারণ একেক রোগীর ক্ষেত্রে অক্সিজেনের মাত্রা ও প্রয়োগ পদ্ধতি একেক রকম হতে পারে। বাতাসে প্রায় ২১ শতাংশ অক্সিজেন থাকে। সেই অক্সিজেন সমৃদ্ধ বাতাস আমরা প্রতিমুহূর্তে নিঃশ্বাসের সঙ্গে নিচ্ছি। এক্ষেত্রে শরীর একটি নিজস্ব প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন গ্রহণ করে থাকে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত অক্সিজেন যদি কখনো প্রয়োগ করা হয় তবে তা ক্ষতিকর  ক্রিয়া ঘটাতে  পারে। যাদের ইতিমধ্যেই শ্বাসতন্ত্রের অন্য কোনো রোগ রয়েছে যেমন সিওপিডি বা ক্রনিক ব্রংকাইটিস, তাদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা এমনিতেই কম থাকে। এর সঙ্গে তারা অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। এসব রোগী যদি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কৃত্তিমভাবে বাড়তি অক্সিজেন নেন তাহলে তাদের ফুসফুসের অক্সিজেন ধারণ ক্ষমতা ব্যাহত হতে পারে। এমনকি মস্তিষ্কের রেসপিরেটরি কন্ট্রোল নষ্ট হয়ে ফুসফুসের ক্রিয়া নিষ্ক্রিয়  হয়ে যেতে পারে।

বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখলে বড় অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি রয়েছে। অবশ্য সিলিন্ডারের মুখ শক্ত করে বন্ধ থাকলে বিপদের ঝুঁকি অনেকটাই কম। কিন্তু অনেক সময় কোনো-না-কোনোভাবে তা লিক হতে পারে; কোন কারনে পাইপটা খোলা থেকে যেতে পারে।ব্যবহারের পর পাইপ বন্ধ করতে ভুলে যেতে পারেন অনেকে। এতে বড় বিপদ হতে পারে। কারণ অক্সিজেনের উপস্থিতিতে যেকোনো বস্তুই দাহ্য হয়ে ওঠে।

Book An Appointment

অনলাইন অথবা মোবাইলে পরামর্শ নিতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন। আমাদের একজন প্রতিনিধি আপনাকে কল করে সিরিয়াল নিশ্চিত করে ডাক্তারের সাথে পরামর্শের সময় জানিয়ে দিবেন। অথবা ০১৭১২ ২৯১৮৮৭ নাম্বারে কল দিয়ে সিরিয়াল নিন।

চেম্বারে এসে সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে সিরিয়াল দিন। যোগাযোগঃ ০১৭৯৭ ২২৩৫৭৪ অথবা ০১৭১২ ২৯১৮৮৭